ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি পৃথক মামলায় আট মাস ধরে কারাবন্দি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক খাদিজাতুল কুবরা। তার মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বের করা মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেঘ মোল্লার বসু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মত প্রকাশের জন্যই আমরা গ্রেফতার হচ্ছি। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী প্রপ্তি তাপসী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কিডনির সমস্যায় ভুগলেও জামিন পাননি খাদিজা। আমরা এখনও খাদিজার দোষ জানি না।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিডনিতে পাথরসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকার পরেও বারবার খাদিজার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা না করে মামলার রায়ের আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য নির্দিষ্ট কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা প্রস্তাবিত ডেটা সুরক্ষা আইন (ডিপিএ) বাতিলের পাশাপাশি ডিএসএ (ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট), ডিপিএ বাতিলের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলায় হয়। তিনি একটি ওয়েবিনারের হোস্ট ছিলেন।
ওয়েবিনারে বক্তা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পরে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয় খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে পুলিশ খাদিজাকে গ্রেফতার করে। এর আগ পর্যন্ত খাদিজার অভিভাবক, তার আত্মীয়-স্বজন কেউই জানতেন না খাদিজার বিরুদ্ধে দুই বছর আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একাধিকবার নিম্ন আদালতে খাদিজার জামিনের আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর হয়।