ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি “টেকনিক্যাল নোট” দিয়েছে। সেটির পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-৩ আসনের সরকারদলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে। আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এরই মধ্যে দু-তিনবার বৈঠকে বসেছে।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, জঙ্গিদের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫।
সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত ১৬ হাজার ৪৫৬ জন নকলনবিশের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান আইনমন্ত্রী। এ ছাড়া মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুন থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।