ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পরিবহন চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে আবৃত্তি সংগঠন ‘ধ্বনি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী দে বলেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হলেও আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। শুধু একজন উপস্থাপক হওয়ায় খাদিজাকে এক বছর জেলে থাকতে হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। খাদিজাকে নিয়ে রাষ্ট্রের কেন এতো ভয়? সমালোচনা, ভিন্নমতকে যেখানে গলাটিপে হত্যা করা হয় সেখানে দেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব থাকে না। খাদিজার মুক্তি চাই। খাদিজার শিক্ষাজীবন ফিরিয়ে দেওয়া ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরকে জবাবদিহির দাবি জানাই।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্র আইন তৈরি করে জনগণের প্রয়োজনে। কিন্তু যে আইন আমাদের ভোগান্তির কারণ হয়, সেই আইনের প্রয়োজন নেই। একজন খুনিও জামিন পান। কিন্তু খাদিজা জামিন পান না। ৬ বার আবেদন করেও জামিন পাননি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য। এর ব্যবহার ক্ষমতাসীনদের হাতে। তাদের প্রয়োজনে এ আইন ব্যবহার হয়।’
এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার করে নতুন নামকরণ নয় পুরোপুরি আইন বাতিল চেয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঋগ্ধ্য অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘এক বছর হলো রাষ্ট্রীয় গুন্ডাবাহিনী খাদিজাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। মুশতাক, কিশোর এর সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়েছে। দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। যখন সরকারের গদি টলমল করে, তখন সরকার যাকে তাকে উঠিয়ে নেয়। হুশিয়ারি দিতে চাই, মানুষকে খাপাবেন না। এর পরিণাম ভালো হয় না। নাম বদলে, সাজা ও জরিমানা কমিয়ে-বাড়িয়ে সেই আইনই আবারও রাখা হচ্ছে। আমরা এটার সংস্কার নয়, বাতিল চাই।’