বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এ ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। আবেদন করতে লাগবে ৫ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের মধ্যে আসতে হবে শেয়ার মার্কেটে। বৈদেশিক বাণিজ্য, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের উদ্যোক্তরা ঋণ পাবে না এ ব্যাংক থেকে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে সব পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ ডিজিটাল ব্যাংকের গাইডলাইন অনুমোদন করেছে। ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এ ব্যাংকের কোনো শাখা থাকবে না। ক্রেডিট স্কোরিং করা হবে আইসিআরআর পদ্ধতিতে। ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে আবেদন নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধাপে ধাপে ক্যাশলেসের দিকে যাচ্ছি। আগামী ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেস করতে চাই। ডিজিটাল ব্যাংক তার একটি অন্যতম উদ্যোগ।
তিনি জানান, ডিজিটাল ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ফিরবে। প্রযুক্তিতে অনিয়ম করা সম্ভব না। তাই ঋণের ক্ষেত্রে অনিয়ম অনেকাংশে কমে আসবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুবিধা পাবে।
গাইডলাইন অনুসারে, নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের অফিস থাকবে। এটি ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল দুভাবেই গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ এবং সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করবে।
ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কোনো ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এদের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম, সিআরএমও থাকবে না।
গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারে। কিন্তু লেনদেনের জন্য কোনো ফিজিক্যাল উপকরণ দেয়ার অনুমতি নেই এ ব্যাংকের।
ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার যার মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, রেগুলেশন, গাইডলাইন, সার্কুলার প্রভৃতি ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।