দেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও এখনো তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। এক্ষেত্রে জনগণকেই সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর অনেক হাসপাতালে এখনো শয্যা খালি রয়েছে, তবে রোগী বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রয়োজনে এক হাজার শয্যার ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১০ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আমাদের সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। রাজধানী ঢাকার সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী রয়েছে। কারণ ওই অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আমরা ওই হাসপাতাল থেকে রোগী অন্যান্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা ভাবছি। কেননা এত বেশি রোগী হলে চিকিৎসা দেয়া কঠিন।
হাসপাতাল ডেডিকেট করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো সিট খালি রয়েছে। অর্থাৎ রোগী বাড়লে এখনো তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা অন্যান্য হাসপাতালের পাশাপাশি মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালেও রোগী ভর্তি করেছি। প্রয়োজনে ওই হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড করে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার তো সব কাজ করে দিতে পারবে না। সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে রাজধানীজুড়ে মশা নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ রোগীদের সব ধরনের সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা নতুন করে ডেঙ্গু চিকিৎসায় গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছি। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বহুতল ভবনের ছাদে এবং ভেতরে এডিস মশা জন্মাচ্ছে। সরকারের পক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে মশা নিধন সম্ভব না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করতে হবে।