বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক দ্রুত উন্নতি করবেন-এমনটাই আশা প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে থাকা তার শ্যালক আসফাক হোসেন৷ বর্ধমানের জামাই হিসেবে শুধু আসফাক হোসেনের পরিবার গর্বিত নয়, গর্ব পুরো বাংলারই৷ পূর্ব বর্ধমান শহরের লস্কর দিঘি এলাকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্বশুরবাড়ি৷ সেই সুবাদে পুরো পশ্চিমবঙ্গেরই জামাই তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের জামাইকে নিয়ে খুশির পরিবেশ লস্করদিঘি এলাকায়। বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা হাতে নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এলো দুই বাংলার শিক্ষাসহ নানা বিষয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্যালক আসফাক হোসেন বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ই-ভিসা চালু করার জন্য অনুরোধ রাখবেন তিনি জামাই বাবুর কাছে৷
জানা যায়, বর্তমানে কোনো মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশ অথবা বাংলাদেশ থেকে ভারত আসতে অনেক আগে থেকেই ভিসার আবেদন জানাতে হয় দুই দেশের দূতাবাসে৷
ই-ভিসা চালু হলে খুব সহজেই মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন৷ বিশেষত বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ যারা চিকিৎসার জন্য কলকাতাসহ দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, ভেলোর আসতে চাইবেন সেই মানুষদের সুবিধা হবে ই-ভিসা চালু হলে৷ আসফাক ভাইয়ের আশা, বাংলাদেশে শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফেরাতে পারবেন তাদের জামাই বাবু।
আসফাক হোসেন বলেন, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর একবার স্ত্রীসহ বর্ধমানের শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন।
ঢাকায় আসার পরিকল্পনার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অক্টোবর মাসের পর তিনি দিদি ও জামাই বাবুর সঙ্গে দেখা করবেন ঢাকায়৷ সঙ্গে নিয়ে যাবেন বর্ধমানের বিখ্যাত মিহিদানা ও সীতাভোগ (মিষ্টি)৷
এ ছাড়াও বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সময় দিতেই হবে বর্তমান উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের-এমনই জানালেন আসফাক হোসন৷
‘দৈনিক আমাদের বার্তা’ পত্রিকা হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে জানান, তাদের পরিবারের সবাই শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত৷ দিদি আফরোজ নিজেও দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করেছেন৷ তাদের জামাইবাবু বাংলাদেশের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগেই বিশ্বে পরিচিত নোবেলজয়ী হিসেবে৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিচিতি আছে৷ বাংলাদেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের জামাই চলতে পারবেন এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবেন বলেই তিনি মনে করেন৷
অপেক্ষা রইলো ঢাকায় গিয়ে দেখা করার এবং তাদের বর্ধমানের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানানোর।