রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে কোনো অনুমোদনহীন ক্লিনিক চালু নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিকের সন্ধান পাওয়া গেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করাসহ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান। লিখিত প্রশ্নে তিনি রাজধানীতে বেসরকারি ক্লিনিক ও অনুমোদনহীন ক্লিনিকের সংখ্যা জানতে চান।
জবাবে স্থাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪। সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ক্লিনিকের নাম ও ঠিকানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পরিদর্শন টিম কর্তৃক নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। এ সময় অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
সরকারদলীয় আরেক সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। লিখিত প্রশ্নে আব্দুল লতিফ জানতে চান, বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। এটা সত্য হলে সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করবে কি না?
একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সারা দেশে বিভাগীয় শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃদ্ধদের চিকিৎসায় জেরিয়াটিক বিভাগ (বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিভাগ) চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই বিভাগে শিগগিরই ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সের রোগীদের আধুনিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের আছে। উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান তিনি।