রাজধানীর সব সড়কে মিছিল নিয়ে উল্লাস করছেন লাখো মানুষ। আজ সোমবার সকালে যাত্রাবাড়ী, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বাড্ডা, উত্তরা মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়। পরে বেলা দেড়টার দিক থেকে মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করে।
এর আগে অবশ্য খবর আসে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ বেলা ২টায় জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর বলেছে, সে সময় পর্যন্ত জনসাধারণকে সহিংসতা পরিহার করে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো।
দেড়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও চালু করা হয়, যা সকালে বন্ধ করা হয়েছিল। মোবাইল ইন্টারনেটও চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বেলা পৌনে ২টার দিকে জানা যায়।
দুপুরের দিকে শাহবাগে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিতে থাকেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে দল বেধে মানুষ আসছেন। সবাই স্লোগান দিচ্ছেন।
মিরপুরে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। মিরপুরের পল্লবী, ১১ ও ১১ নম্বর থেকে মিছিল নিয়ে মানুষ ১০ নম্বর সেকশনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা আগারগাঁওয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন। পরে তারা ফার্মগেটের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী অভিমুখে আগিয়ে আসছেন আন্দোলনকারীদের একটি দল। সেখানে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও স্থানীয় মানুষ রয়েছেন। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসছেন। বিক্ষোভকারীরা বেলা দেড়টার দিকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পার হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন।