খবর নেই ঢাকার আদালত দাপিয়ে বেড়ানো ৭ শতাধিক আইন কর্মকর্তার। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কয়েক দফায় রাষ্ট্রের পিপি, জিপি, স্পেশাল পিপি, এডিশনাল পিপি, এপিপি, এজিপি হিসেবে তারা নিয়োগ পান।
গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করার পর নিম্ন আদালতের কার্যক্রম গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়। কিন্তু আদালত খোলা থাকলেও ঢাকার নিম্ন আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সাত শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তার কোনো খবর নেই। সরেজমিন গিয়ে গত দুইদিন মহানগর পিপি, জেলা পিপি, জিপি অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের কাউকে দায়িত্ব পালনে করতে দেখা যায়নি।
ঢাকার নিম্ন আদালতে ৭ শতাধিক পাবলিক প্রসিকিউটর ও গভর্নমেন্ট প্লিডার (সরকারি উকিল) আছেন। তাদের মধ্যে ১ জন ঢাকা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং ১ জন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর, একজন জিপি ও তাদের অধীনে অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, অর্ধশতাধিক স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাকী ছয় শতাধিক সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রয়েছেন।
এসব সরকারি আইন কর্মকর্তারা ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা আদালত, ৪টি দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে, ৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালে, ১০টি বিশেষ জজ আদালত, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে, সাইবার ট্রাইব্যুনালে, জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে, পরিবেশ আদালত, পরিবেশ আপিল আদালতে, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট (সিএমএম) আদালতে ও তার অধীনস্থ আদালতসমূহে গত ১৬ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের গন্ধ পেলেই মারধর করছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি আদালতে আসবেন না।