ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে লাখ লাখ মানুষের ভিড়ের কারণে এ যানজট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলে যাওয়া মানুষরা। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরসহ কয়েকটি পয়েন্টে পূণ্যার্থীরা যানবাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ পূণ্যার্থীদের আগমনের কারণে মহাসড়কে ভোর থেকেই যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র যানজটের কারণে অধিকাংশ জায়গায় হেঁটে অফিস যাচ্ছেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও বৃদ্ধরা।
এনজিও কর্মকর্তা মো. কবিরুল ইসলাম, ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেওঢালা থেকে ৪৫ মিনিট আগে রওনা হয়েছি। এখনও মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে। এভাবে চললে অফিস যাওয়া সম্ভব হবে না।
টিপুরদী থেকে শিমরাইল যাওয়ার জন্য নাফ বাসে উঠেছেন আলম নামের একজন সবজি ব্যবসায়ী। তিনি জানান, যানজটের কারণে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
আমজাদ হোসেন নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, রমজান মাস দোকানে কেনাকাটা বেশ ভালো। কাপড় কেনার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি। মহাসড়কে তীব্র যানজট।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের লাঙ্গলবন্দ স্নানকে কেন্দ্র করে পূণ্যার্থীদের আগমনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ দেখা গেছে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ।