বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও সংগৃহীত রক্ত বিতরণ কর্মসূচি করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার বটতলায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এ রক্তদান কর্মসূচির শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন।
সেইসঙ্গে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সংগৃহীত রক্ত বিতরণ, হেলথ ক্যাম্প ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানবতায় অগ্রদূত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মের আগে ছাত্রলীগের জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর মনে অনুভূতি ছিলো, ছাত্রলীগ যারা করবে তাদের কখনো লোভ-লালসা থাকবে না। তারা দেশ ও জাতির জন্য তাদের রক্ত ঢেলে দিতে পারে। সেই ছাত্রলীগ আজকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রক্তদানের মতো মহৎ একটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমি ছাত্রলীগকে মহৎ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি যে, ছাত্রলীগ স্মার্ট বাংলাদেশের মঞ্চ গোটা বাংলাদেশে প্রস্তুত করবে। আমাদের ওপর যতবারই আঘাত আসবে, ছাত্রলীগ দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী যেমন বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ছাত্রলীগের কাছে দায়বদ্ধ করেছেন ঠিক তেমনি বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীরা রক্তদান করে দেশের নাগরিকদের রক্তের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করবে। বছরজুড়ে বিভিন্ন ইউনিটে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা এই বছর কয়েক হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করবো এবং সারাদেশের মানুষের মধ্যে বিতরণ করবো। যাতে বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চিতে ছাত্রলীগের মানবতার জয়গান ছড়িয়ে দিতে পারি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরীসহ অনেকে।