ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছে হল প্রশাসন। এটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সিন্ডিকেটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিন্ডিকেটের অধিকাংশ সদস্য লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-রাজনীতির বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ কোনো রাজনীতি থাকুক তা কর্তৃপক্ষও চায় না। তবে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার ও চর্চা বলবৎ রাখতে ডাকসুসহ অন্যান্য ছাত্র সংসদগুলো সচল ও কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে পরামর্শক কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শুক্রবার সকালে তোফাজ্জল হোসেন হত্যা মামলার গ্রেফতার ছয় আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃত ছয় শিক্ষার্থী হলেন, জালাল আহমেদ, মোত্তাকীন সাকিন, মোহাম্মদ সুমন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এদের মধ্যে জালাল ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়া, সুমন মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিভাগ, মোত্তাকিন পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিউট, সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল ভূগোল বিভাগ এবং আহসান উল্লাহ গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে তাকে খাবারও খাওয়ায় শিক্ষার্থীরা। এরপর আবারও তাকে মারধর করা হয়। এ সময় মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তোফাজ্জল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।