নাগরিক জীবনের টানাপোড়ন, ভালোবাসা, প্রতিবাদ, সুখ-দুঃখের গানের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে চিরঞ্জীব হয়ে থাকা সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর ৫৯তম জন্মদিন আজ সোমবার। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব', ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘এই কান্নাভেজা আকাশ আমার ভালো লাগে না’র মতো গানের মাধ্যমে তরুণদের হৃদয়ে ঢেউ তোলা সংগীত ভুবনের এই কারিগরের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) উদযাপিত হলো সঞ্জীব উৎসব-২০২৩।
‘সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদ’র সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজনটি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ (ডিইউসিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি (ডিইউবিএস)।
বিকেল সাড়ে ৪টায় সঞ্জীবের গাওয়া গান দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এ সময় গান পরিবেশন করেন লিমন, মুয়ীয মাহফুজ, জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, আহমেদ হাসান সানি, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, অর্ঘ্য, ঘুণপোকা, শতাব্দী ভব, রাজেশ মজুমদার, অং, রাশেদসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যরা।
আয়োজন সংশ্লিষ্টরা বলেন, সঞ্জীব চৌধুরীর গান ও গানের দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ আয়োজন।
আয়োজক সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, কথাপ্রধান গানের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেয়া ছিলো সঞ্জীবদার অন্যতম দর্শন। এ ছাড়া তার গানের মাধ্যমে বাংলা লোকগানকে নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করতে ভূমিকা রেখেছে। তার দর্শন পৌঁছে দিতে গত ১২ বছর ধরে এই উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে।
সঞ্জীব চৌধুরী১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন সৃজনশীল লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিক। দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত-সাহিত্য চর্চা। বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া গান এখনো সমানভাবে এ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়।২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ নভেম্বর এই গুণীশিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।