দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : কিছু সময়ের জন্য রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে আপন সহোদরের মতো এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করলেন দেশের সকল ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) ৬০০-এরও অধিক নেতৃবৃন্দ ইফতারের জন্য একসাথে এক ছাদের নিচে জড়ো হন। ইফতার পূর্ব মুহূর্তে ‘শিক্ষাঙ্গনে সংকট, ছাত্র সংগঠন নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সকল রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি এ নিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বরতরা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আজকে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে রাখা হয়েছে, যা আধুনিক যুগের ছাত্র রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তাছাড়া হলগুলো রাজনৈতিক সংগঠনের কাছ থেকে মুক্ত করে শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা হোক।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, শিক্ষার্থীদের অবাধ রাজনৈতিক চর্চায় ডাকসুর ভূমিকা রয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকারও। আমরা বিশ্বাস করি— ছাত্র রাজনীতিকে আরো স্মার্ট ও যুগোপযোগী করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাস ভায়োলেন্স কমিয়ে আনা সম্ভব। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট, লাইব্রেরি সংকট ও অন্যান্য সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাস্টারপ্ল্যান দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।
প্রধান আলোচকের বক্তেব্যে ঢাবির বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ এবং পাকিস্তান আমলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা ছাত্রনেতাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক বক্তব্য শুনেছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে নিয়ে যেতে শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। এটি শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রসারিত করে।