ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাবেদ হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার রাত ১১টা থেকে শুরু করে রাত দেড়টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। পরে হল প্রাধ্যক্ষ এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর বিক্ষোভকারীরা চলে যান।
তবে হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালি নিয়োগে ছাত্রলীগের ‘পছন্দের প্রার্থী’ না নেওয়ায় এই আন্দোলন করছেন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, ‘বহিরাগতরা এসে হলের শিক্ষার্থীদের মারধর করছে। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়।’
গতকাল বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন হলের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী ও পরিসংখ্যান বিভাগের নয়ন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের অনুসারী জাহিদুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী রবিউল ইসলাম ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী মাজহারুল ইসলাম আকাশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থী বায়েজিদ পুকুরপাড়ে বসে ছিলেন। এ সময় বাইরের একজন এসে তাঁকে মারধর করেন। এ রকম হলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন। এখানে নিয়োগের কোনো বিষয় নেই। নিয়োগ তো হল প্রশাসন করে, এখানে ছাত্রলীগ কখনো মাথা ঘামায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন আজ সকালে বলেন, ‘হলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কথা বলেছেন। দোকান ও ক্যানটিন নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের কথা শুনেছি। এ বিষয়ে মিটমাট হয়েছে।’ নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন জাবেদ হোসেন।