ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং জাপানের এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড ও রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর মধ্যে বুধবার( ১০ জুলাই ) এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য অফিস লাউঞ্জে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা মি.তাইচি ওয়াতানাবে এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার আকিরা তোদা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারস, এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাইং (এডব্লিউডি) পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্বন ক্রেডিট এবং কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা করবে।
এ ছাড়া, তারা এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতির অনুশীলনের মাধ্যমে কম পানি ব্যবহার করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পানি সম্পদ সংরক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষ এবং জমিতে কার্বন গ্যাস পরিমাপের জন্য যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জাপানের এই দুই কোম্পানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারস-এর বায়ু বিশুদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণ ল্যাবরেটরিতে এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ‘গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ মেশিন’ প্রদান করবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ, জনসংযোগ দপ্ততরের পরিচালক মাহমুদ আলম, কারস-এর গবেষক এবং দুই জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করায় এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা তাইচি ওয়াতানাবে এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার আকিরা তোদাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।