ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়ং সিক। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তাঁরা ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়ং সিক নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সমসাময়িক কোরিয়া : ইতিহাস, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শান্তি ও নিরাপত্তা' শীর্ষক এক জনবক্তৃতা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার দেশের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে দুদেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি চালুর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি 'ইন্ডাস্ট্রি- একাডেমিয়া' সম্পর্ক আরো জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।