আলোচনা সভাতে বসার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবসে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা শেষে প্রবেশ পথে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই হাতাহাতিতে জড়ায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাসহ কলেজটির বেশ কয়েকজন নেত্রী এবং ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, শামসুন নাহার হল ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রিভা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের অনুসারী ও ঢাবির নেত্রীরা ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা সভার প্রথম দিকের চেয়ারে বসা ছিলো ঢাবি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী মিহা আক্তার ও শামসুন নাহার হলের নীলম বিশ্বাস সেতুসহ কয়েকজন নারী নেত্রী। এ সময় তাদেরকে উঠে যেতে বলেন রিভাসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেত্রী। তারা রিভাদের চিনেন না জানিয়ে উঠতে অস্বীকৃতি জানালে মিহার থুতনি ধরে ঝাঁকি দেন রিভা। পরে সভা শেষে সৈকতের অনুসারী বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী তানিয়া আক্তার তাপসীসহ কয়েকজন রিভাকে আটকে ধরেন। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে রিভাকে গলা টিপে ধরে থাপ্পড় মারার অভিযোগ তুলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইডেনের এক নেত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রিভা আপু আমাদের সিনিয়র। তাকে চড়-থাপ্পড় মারা মানে একটা ইউনিটকে চড়-থাপ্পড় মারা। এটা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এর বিচার হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে তামান্না জেসমিন রিভা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বসা নিয়ে ছোট বোনদের মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। সিনিয়ররা বসতে চেয়েছিলো কিন্তু তারা কাউকে না চেনাতে উঠবে না বলে জানায়। পরে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা এসে ওদের সরিয়ে দেয়। সভা শেষে বের হওয়ার সময় ওরা আমাদের কয়েকজনকে আটকায়। আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করার চেষ্টা করছিলো। তবে তেমন কিছু হয়নি।
এদিকে তানিয়া আক্তার তাপসী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঢাবির মেয়েরা আগে থেকে সামনে বসা ছিলো। পরে দুপুর ১২টার দিকে ইডেন নেত্রীরা এসে তাদের উঠিয়ে দিয়ে, মুখে ধরে বাজে ব্যবহার করেছে। প্রোগ্রাম শেষে রিভা আপুকে বিচার দিতে গিয়েছি। তখন উনি আমাদের সঙ্গে অ্যাগ্রেসিভ আচরণ করছে। তবে আমরা কাউকে মারধর করিনি। ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায় নি।
অন্যদিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বসা নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। পরে আমরা সমাধান করে দিয়েছি।