শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনায় এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। দূরত্ব ভেদে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা পর্যন্ত রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। আগামী রোববার (২১ মে) থেকে নতুন এ রিকশা ভাড়া কার্যকর হবে বলেও আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমানের কাছে শিক্ষার্থী ও রিকশাচালকদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা তুলে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশা ভাড়া নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করে আসছেন। রিকশা ভাড়া কমানোর জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে যৌক্তিকভাবে রিকশা ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। করোনা মহামারী ও করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থী ও রিকশাচালকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার ভিত্তিতে উভয়পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন রিকশা চালকের জন্য একটি আলাদা পোষাক নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডাকসুতে নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিলো। কিন্তু করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে রিকশা ভাড়া নিয়ে আমাকে অভিযোগ করে এসেছে। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমি এ উদ্যোগ গ্রহণ করা। এজন্য গত ১০-১৫ দিন থেকে শিক্ষার্থী ও রিকশা চালকদের সঙ্গে দফায় দফায় বসে আলোচনা করেছি। উভয়ের সম্মতিতে এই রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
রিকশা চালকরা এমন ভাড়া না মানলে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিকশাচালকদের সঙ্গেই কথা বলেই এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা নিজেরাই এই নির্ধারিত ভাড়া সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তাছাড়া প্রক্টর অফিসে রিকশাচালকদের ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপগুলোতে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইব্রাহিম সৈকত নামের শিক্ষার্থী লিখেছেন, খুব প্রশংসার দাবিদার। সুন্দর মত বাস্তবায়ন হলে সবার জন্য ভালো হবে।
ইরতাজুল হক রিয়ান নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে আপনার হাত ধরে।