ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার পর সন্তানকে নিয়ে আসার সময় ক্যাম্পাসের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে একটি সিএনজিতে উঠেছিলেন কৃষিবিদ কানিজ ফাতেমা। ওই সিএনজিতে তিনি ৩৩ হাজার টাকাসহ একটি নেভি ব্লু রঙের পার্স খুঁজে পেয়েছেন। পার্সে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা ও কিছু বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষিবিদ কানিজ ফাতেমা টাকাসহ পার্সটি আসল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান। তিনি ধারণা করছেন পার্সটি ভর্তি পরীক্ষা দিতে সন্তানকে নিয়ে আসা কোনো অভিভাবক বা ক্যাম্পাসে আসা কারো। টাকাসহ পার্সটি ফিরে পেতে আসল মালিককে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের এইচআরএম বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। পার্সটির আসল মালিক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ প্রমাণ দিয়ে টাকাসহ পার্সটি ফেরত নিতে পারবেন।
কৃষিবিদ কানিজ ফাতেমা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার মেয়ে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার সিট ছিলো কার্জন হলে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা চলে। এরপর তিনি মেয়েকে নিয়ে দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে একটি সিএনজিতে উঠে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান। সে সময় সিএনজিতে তার মেয়ে একটি নেভি ব্লু পার্স পড়ে থাকতে দেখেন। একটি বোতাম লাগানো ছোট মেয়েদের ব্যবহার করার পার্সটির ব্যাপারে প্রথমে ইগনোর করলেও পরে তিনি খুলে দেখেন পার্স-এ বেশ কিছু টাকা। সেন্ট্রাল হাসপাতালে পৌঁছালে সিএনজিচালক ব্যাগটি নিজের কাছে নিতে চান। তবে, তার হাবভাব সুবিধার মনে না হওয়ায় পার্সটি তিনি সিএনজি চালককে দেননি। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ৯৯৯ নম্বরে টেলিফোন করেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি। পরে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, নেভি ব্লু রঙের পার্সটিতে একটি বোতাম রয়েছে। এতে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা, একটি কার্ড ও কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ছিলো। কার্ডে কিছু নম্বর লেখা আছে, কিন্তু হাসপাতালের লোকজন বলছেন, ওগুলো ভিওআইপি নম্বর। এ ছাড়া পার্সটিতে আর কিছু নেই। কোনো ফোন নম্বর বা অন্য কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। পার্সটি এখনো তার জিম্মায় আছে।
তিনি জানান, পার্সটি তিনি আসল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান। আসল মালিক যদি পার্সটির বিষয়ে জানতে পারেন তাহলে তাকে অনুরোধ জানাবো রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের এইচআরএম বিভাগে যোগাযোগ করতে। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে তাকে সব টাকাসহ পার্সটি ফিরিয়ে দেয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব তথ্য নিয়ে তাকে পার্সটি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।