মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যঙ্গ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭জুলাই) রাতে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনবদ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির কন্ঠস্বর হিসেবে গণ্য হয়।
কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ তেইশ বছরের মুক্তি সংগ্রাম শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে “তুমি কে, আমি কে; রাজাকার রাজকার” এর মত ঘৃণ্য স্লোগান দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা দেখানো হয়েছে যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাবেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক উচ্চারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এইসব আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের এই স্বাধীন দেশে কোন ধরনের অধিকার থাকতে পারে না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সকল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে অতি শিগগিরই ক্লাস-পরীক্ষায় মনোযোগ দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, খলিলুর রহমান মোহন, নুরুল ইসলাম সুজন (যুগ্ম-আহবায়ক), গোলাম মোস্তফা সুজন, দেলোয়ার হোসেন, শেখ সোহেল রানা টিপু, মেহেদি হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, সনজিত চন্দ্র দাস, বাহাদুর বেপারী ও সাজ্জাদ হোসেন।
সাবেক সাধারণ সম্পাদকরা হলেন, আতাউর রহমান ডিউক, অসীম কুমার উকিল (যুগ্ম-আহবায়ক), একেএম আজিম, হেমায়েত উদ্দিন খান হিমু, সাজ্জাদ সাকীব বাদশা, ওমর শরীফ, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, কামরুজ্জামান আনসারী ও পংকজ দেবনাথ।