তথ্য গোপন করে উপবৃত্তির তালিকায় নিজের মেয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক তাকে এই শোকজ করেন। এছাড়া ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে পাঠানো মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘আপনার নিজ কন্যা রাজশাহী পাটকল উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যয়ন না করলেও তথ্য গোপন করে নিজ কন্যাকে আপনার বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থী দেখিয়েছেন। এরপর তথ্য গোপন করে উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আপনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় আপনাকে শোকজ করা হলো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে কেন এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা (জবাব) প্রদান করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এই ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তার সাফ কথা- বক্তব্য তিনি যা দেবেন; শোকজের জবাবেই দেবেন।
তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।