ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী হলেও তথ্য গোপন করে প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন আয়নাল হক। অথচ পরীক্ষক নিয়োগপত্রে স্পষ্ট উলেস্নখ আছে, 'সন্তান কিংবা পোষ্য পরীক্ষার্থী হলে প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক হতে পারবেন না। এই নিয়োগপত্রটি বাতিল হবে।' এছাড়ও তিনি ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মূল্যায়নের জন্য ৪শ' উত্তরপত্র গ্রহণ করেছেন।
আয়নাল হক চৌগাছা উপজেলার ঝাউতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আয়নাল হকের ছেলে চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এরপরও তিনি তথ্য গোপন করে যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন এবং এরইমধ্যে বোর্ড থেকে খাতাও নিয়ে এসেছেন। গত ২০ ফেব্রম্নয়ারি বোর্ডের আওতাধীন সব পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/নিরীক্ষকদের নিয়োগপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা সেখান থেকে নিয়োগপত্রটি ডাউনলোড করে নিয়োগপত্রের উপরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর করে বোর্ডে জমা দিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে আসতে হবে। আয়নাল হক নিজেই প্রধান শিক্ষক, নিজের প্রত্যয়ন নিজেই দিয়ে সন্তান পরীক্ষার্থীর তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মূল্যায়নের জন্য ৪শ' উত্তরপত্র গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে চৌগাছার শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
আয়নাল হক বলেন, 'বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানাব। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই হবে।'
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, সন্তান পরীক্ষার্থী হলে তিনি পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/নিরীক্ষক হতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক তথ্য গোপন করে পরীক্ষক হয়েছেন, বিষয়টি জানা নেই। তথ্য পাওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।