বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে ঢাকা-লন্ডনের টিকেটের ব্যবস্থা ছাত্রলীগ করবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানাই অনতিবিলম্বে ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়াকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে ঢাকা লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করে দেবে। তাকে দেশে এনে আইনের শাসনের আওতায় তা বাস্তবায়ন করা হয়। এই যাত্রা পথে তার প্রিয় ঠিকানা আফগানিস্তানের কাবুল ও পাকিস্তানের করাচিতে তাদের ব্রেক দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। অনতিবিলম্বে আইনের শাসনের বাস্তবায়নের জন্য তারেকদিকের দেশে এনে যেন বিচারের রায় কার্যকর করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্করদের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন আস্ফালনের প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের পদযাত্রা ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দেট ১৭ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত একযোগে দেশের ৪৩৪টি স্থানে ৫০০ বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিরলতম ঘটনা। জঙ্গি ও ধর্মীয় উগ্রবাদী ঘটনা আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, সিরিয়াসহ অনেক দেশেই ঘটেছে কিন্তু দেশব্যাপী সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে দেশের ৯৯ ভাগ জায়গাতে তারা তাদের জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছিল। এটি একমাত্র ঘটনা যেখানে সরাসরিভাবে রাষ্ট্র ও সরকার জড়িত। সেই সময়কার আমরা বিভিন্ন রিপোর্ট এ দেখতে পেয়েছি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের সেই সময়ের আট জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যখন দেশের শীর্ষ দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তারা শোক বার্তা দেয় তখন তাদের বোঝা যায় তারা গণতন্ত্রের মুখপাত্র, মুখপাত্র তারা যুদ্ধাপরাধীর মুখপাত্র।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বিক্ষোভ ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীমসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।