বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৮ আগস্ট) তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে আদেশের পরে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।
এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা 'শেইম- শেইম' বলে চিৎকার করতে থাকেন। বিচারপতিদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ফাইল।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ১১টা) এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী অবস্থান করছিলেন। এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। সেই সঙ্গে বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি চাওয়া হয় নির্দেশনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেন আদালত। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করে আদালত।