পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একাডেমিক ভবনে হঠাৎই তালা দেয়া হয়, এতে ভোগান্তিতে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১টা ৪০মিনিটে পবিপ্রবির একাডেমিক ভবনের কৃষি অনুষদ, ফিশারিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সংলগ্ন ফটকে তালা দেয়া হয়।
জানা যায়, গত ৬ আগস্ট ১৩ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। স্মারকলিপি দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়, দফাগুলো বিবেচনা করে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে ১৭ই দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং পক্ষান্তরে পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবনের বাইরে পরীক্ষা উপকরণ নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় পবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে থাকবেন বলে শান্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, একাডেমিক ভবনে তালা দেয়ার কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যাই এবং কর্মচারীদের দ্বারা তালা খুলে। তবে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে যা0রা পরীক্ষা কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।