তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১ জনে। আর সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে দুই হাজার ৯৯২ জন। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।
আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বুধবার উদ্ধার তৎপরতায় সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কাজের গতি বাড়ছে, পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। শুরুতে কিছুটা সমস্যা ছিল।
এরদোয়ান বলেন, শুরুতে বিমানবন্দর এবং সড়কে সমস্যা হচ্ছিল, আজকে কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে, আগামীকাল আরও হবে। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি। রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সবাইকে ঘর প্রস্তুত করে দেওয়া হবে, কাউকেই রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।