এমএমসি অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের ত্রৈমাসিক তথ্য আঞ্চলিক উপপরিচালকদের স্কুল থেকে সংগ্রহ করে ইমেইলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাউশি অধিদপ্তর। চলতি বছরের এপি্রল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের পাঠাতে হবে।
এর আগে মাঠ পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষকরা এমএমসি অ্যাপের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে দাখিল করতো। কিন্তু অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তা সার-সংক্ষেপ আকারে ২৭ জুনের মধ্যে অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ের ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ডিডিদের এ নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠি রোববার প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং মাঠ পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষক এমএমসি অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা ক্লাসের ভিত্তিতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে থাকে।
কিন্তু এই অ্যাপটি এ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাউশি’র আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কোনো শ্রেণি শিক্ষক তাদের এমএমসি ক্লাস আপলোড দিতে পারছেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাওয়া এপিএ’র অন্যতম সূচক হলো মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া এমএমসি ক্লাস যা প্রতিবেদন আকারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মাউশি অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা (মাধ্যমিক) তাদের নিজ-নিজ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এপ্রিল-জুনের এমএমসি ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তা সার-সংক্ষেপ আকারে নির্ধারিত ছকে ২৭ জুনের মধ্যে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-উইং এর[email protected] এই ইমেইলে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ব্যতীত মাঠ পর্যায়ের অন্য কোনো শিক্ষা কর্মকর্তা বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের ইমেইলে আলাদাভাবে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।