দৈনিকশিক্ষাডটকম, কুমিল্লা: দরপত্র আহ্বান ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৯০টি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে ছয়টি গাছ ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গাছগুলো কাটা শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে।
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ থাকায় সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছায়াময় ও মনোরম পরিবেশ রয়েছে। এসব গাছ কাটা পড়লে সেই পরিবেশ
এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কথা বলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই টাকা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের।
এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল হক চৌধুরী গত ১৭ জানুয়ারি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের হাত করে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছে। তা বন্ধ করার জন্য আমি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল হোসেন বলেন, ‘ভর্তি ফি আর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ থেকে যে টাকা আসে তা দিয়ে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। চার থেকে পাঁচটি গাছ কাটা হয়েছে। তবে এখন গাছ কাটা বন্ধ আছে। গাছ কাটার জন্য যে আইনকানুন মানতে হয় তা আমার জানা ছিল না। এখন টাকা ফেরত দেব।’
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে দ্রুত নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।’
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমাইল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগের আলোকে বন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’