সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবি মেনে নেয়া না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার নীলক্ষেত মোড়ে এ ঘোষণা দেন আন্দেলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দশ সদস্যদের এক প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলে থাকা তসলিম চৌধুরী বলেন, আমরা সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ে আমাদের বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন। বৈঠকে আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না এলে আগামী রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরা আমরণ অনশনে বসবো।
আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, ঢাবি অধিভুক্ত কলেজের ২০১৭-১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ সেশনের সবার এক দফা বিলম্বিত প্রকাশের জন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিন বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চাই। আমরা যেহেতু পরবর্তী বর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। তাই সামান্য সিজিপিএ বা জিপিএ শর্তের জন্য বিগত বর্ষের সকল বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে, তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন আমাদের সকলেরই যৌক্তিক দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১১টা থেকে ইডেন মহিলা কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নেয়ার কথা থাকলেও পুলিশের উপস্থিতির কারণে, তারা কলেজের অবস্থান নিতে পারে নি। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত-নিউমার্কেট সংলগ্ন ওভারব্রিজের ওপর অবস্থান নেন। গতকাল বুধবার এক দফা দাবি আদায়ে বেলা ১২ টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে অধিভুক্ত কলেজের একাধিক শিক্ষকের অনুরোধে দশ সদস্য বিশিষ্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এরই এক পর্যায়ে নিউমার্কেট এবং লালবাগ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আন্দোনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।