দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহষ্পতিবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী নববর্ষ অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
ঈদের ছুটি থাকায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপনের করা হয়েছে চারদিন দেরিতে। শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশা ও রিকশাচিত্র প্রাধান্য পেয়েছে।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো নিয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী, আর এ ধরণের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।
আলোচনা সভা শেষে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিকেলে আরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে নেচে-গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তুলে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।