তথ্য গোপন করে নীলফামারীর জলঢাকায় দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন সেলিনা বেগম নামে এক শিক্ষিকা। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতি দেখিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভোগ করছেন তিনি। অনুসন্ধানে এমনি তথ্য এসেছে এ দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে এসেছে।
একাধিক সূত্রের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার গোলনা শহীদ স্মৃতি কলেজে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের যুক্তিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন সেলিনা বেগম। পরবর্তীতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। চলতি বছরের জুন মাস থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন ভাতা চালু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সেলিনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি আগে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি,আপনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
জানতে চাইলে জলঢাকার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তছলিম উদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে নভেম্বর পর্যন্ত মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে শিক্ষিকা সেলিনা বেগম আমাদের স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়টি আমার জানা নেই।
জানতে চাইলে গোলনা শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সেলিনা বেগম আমাদের কলেজে নিয়মিত আসছেন,অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়টি আমি জানি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জলঢাকা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সভাপতি ময়নুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সেলিনা বেগম একইসঙ্গে দু’টি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি কিভাবে ম্যানেজ করেন তা আমি জানি না, তবে এখন তিনি পার্টটাইম ক্লাস নিচ্ছেন।