দৈনিক শিক্ষাডটকম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সোমবার দুপুরে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়।
উলিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আহবায়ক) মো. ফরহাদ হোসেন খন্দকার ও চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্তকারী দলের সদস্য মো. জাহেদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ে সরেজিমন তদন্ত সম্পন্ন করেন।
এতে অভিযোগকারী অভিভাবক ওমর আলীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমান লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটিকে দেন।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনেন তদন্ত কমিটি। পরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সোলার, ব্যাটারি ও পানির ট্যাংক, পানির মটরসহ আসবাবপত্র পায়নি তদন্ত কমিটি।
পরে নানা অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রাথমিক সত্যতার কথা বলেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (আহবায়ক) ফরহাদ হোসেন খন্দকার।
তিনি বলেন, আমরা দুইপক্ষের বক্তব্য শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। বিদ্যালয়টি যেনো ভালোভাবে চলে এবং আগের পরিবেশ ফিরে আসে সে বিষয়ে অভিযোগসহ এলাকাবাসীর মতামতের আলোকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে দু’একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে অভিযোগকারী অভিভাবক ওমর আলী বলেন, তদন্তকারী কমিটি সরেজমিন এসে আমার এবং এলাকাবাসীসহ সবার বক্তব্য শুনেছেন এবং লিখিত স্টেটমেন নিয়েছেন। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক দিবেন। তদন্ত কমিটিকে ওই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অর্থ দিয়ে প্রতিবেদন ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারে।
বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মসিহুর রহমান অভিযোগগুলোর বিষয় মিথ্যা দাবি করে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষেই যাবে।
কারণ আমি কোনো অপকর্ম করিনি। তিনি আরো বলেন, অনুপস্থিত ছিলাম তা সত্য। কিন্তু বিদ্যালয়ের কাজের স্বার্থে আমার অনুপস্থিত হতে হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) মো. নবেজ উদ্দিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।