জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সারা দেশে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশসেরা হয়েছেন চার শিক্ষার্থী ও চার শ্রেণিশিক্ষক। তাঁদের সবাই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া আরও কয়েকটি শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আগামীকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
এর আগে ৫ ও ৬ জুন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা) উপলক্ষে সারা দেশে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠদের বাছাই করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্রমতে, এবার শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষার্থী হলো বিদ্যালয় পর্যায়ে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবাহ বিনতে বায়েজিদ, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী কলেজের মোসা. আফরা মেহজাবীন, মাদরাসা পর্যায়ে গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ ও কারিগরি পর্যায়ে রংপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্র মো. রাগীব ইয়াসির রোহান।
গতবারও শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষার্থীর সবাই ছিল ঢাকার বাইরের। এর মধ্যে রাগীব ইয়াসির গত বছরও কারিগরিতে শ্রেষ্ঠ হয়েছিল।
বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়া সাবাহ বিনতে বায়েজিদের বাবা মোহাম্মদ বায়েজিদ হোসেন তাঁর মেয়ের গুণাবলির কিছু তথ্য পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর মেয়ে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে আবৃত্তিতে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিল। এবার সে তাৎক্ষণিক অভিনয়ে তৃতীয় ও নির্ধারিত বক্তব্যে জেলায় প্রথম হয়। এবারের একুশে বইমেলায় তার লেখা ও আঁকা ছবি নিয়ে ‘ছড়ায় ছবিতে বাংলাদেশ’ নামের বই প্রকাশিত হয়।
চার শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক
ভোলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হোসনে আরা বেগম এবার বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক হয়েছেন। এ ছাড়া কলেজ পর্যায়ে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. জুলফিকার হায়দার, মাদরাসা পর্যায়ে রংপুরের ধাপ-সাতগাড়া বায়তুল মুকাররম মডেল কামিল মাদরাসার প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান ও কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক হয়েছেন কুমিল্লার আফজল খান কারিগরি ও কমার্স কলেজের শিক্ষক মো. নিজামুদ্দীন।
অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়েছেন বিদ্যালয় পর্যায়ে ঢাকার মিরপুরের মডেল একাডেমির শুভাশীষ কুমার বিশ্বাস, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, মাদরাসা পর্যায়ে কুষ্টিয়ার সদরের আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার হাফেজ মোহা. আবদুল করিম ও কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়েছেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মো. রুহুল আমিন।
সেরা চার প্রতিষ্ঠান
সেরা চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যালয় পর্যায়ে সাভারের সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ পর্যায়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, মাদরাসা পর্যায়ে বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা এবং শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।