দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি: 'তথ্য জনগণের অধিকার। প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা প্রজাতন্ত্রের সেবাদাতা। কর্মকর্তারা তথ্য হেফাজতকারী, তথ্য কুক্ষিগত করে রাখতে পারে না। সকল জায়গায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন। দেশের প্রত্যেক জনগণ তথ্যের দাবি রাখে।’ মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে কর্মকর্তাদের তথ্য অধিকার আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উপাচার্য বলেন, একটা সময়ে তথ্য গোপন করে রাখা হতো। কিন্তু এটা জনগণের অধিকার। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত করেছেন তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিকাশ ঘটেছে।
এসময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, কোনো গণমাধ্যম ও সাধারণ একজন জনগণও যদি তথ্য চায়, কর্মকর্তার তা দিতে বাধ্য। তবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করতে হবে। সেবাদাতা যে মাধ্যমে তথ্য চাইবে, ঠিক সেভাবেই তথ্য দিতে হবে।
খাদ্যের ভেজাল রোধ ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সাদেকা হালিম বলেন, ভেজাল খাদ্য রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। খাদ্যের গুনগত মান ও পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ভেজাল রোধে কঠোর শাস্তির পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে আমরা সব সময় প্রস্তুত। খাদ্যের যথাযথ মান নিশ্চিতে আমাদের সকলে কাজ করছে।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে স্বশরীরে ও অনলাইনে দু’শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সম্পাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এসময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অন্যান্য সকল কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।