দেশে প্রায় আট লাখ উচ্চশিক্ষিত নারী-পুরুষ বেকার বসে আছেন। বেকারের হার সবচেয়ে বেশি উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যেই। দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮২ হাজার। আর বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের শ্রমশক্তি জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে বেকারের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
বিবিএসের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারের হার এখন ১২ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যে বেকার ১ শতাংশের একটু বেশি। সংখ্যার দিক থেকে এমন বেকার আছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোদের মধ্যে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩ লাখ ২২ হাজার বেকার আছেন।
জরিপ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পাস করেছে এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৭ লাখ ৩৯ হাজার বেকার। উচ্চমাধ্যমিক পাস করাদের মধ্যে বেকার ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
জরিপ বলছে, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। সার্বিকভাবে কর্মজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
প্রসঙ্গত, বেকার মানুষের পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী বের করে বিবিএস। আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিগত ৩০ দিনের মধ্যে কাজপ্রত্যাশী একজন মানুষ যদি সর্বশেষ সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হবে।