৯ বছর ধরে ভারতে অবস্থানের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শিলং থেকে দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরার জন্য তিনি ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) তাকে এ পাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকালে মেঘালয় থেকে মুঠোফোনে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। প্রসঙ্গত গত বছরের জুনে তাকে তিন মাসের মধ্যে দেশে ফেরার শর্তে ট্রাভেল পাস দেয়া হয়েছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিস থেকে ট্রাভেল পাসের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ট্রাভেল পাসটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।
সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ওই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।