সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত উপবৃত্তি যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য অন্তর্ভুক্তি চলছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি এমআইএস সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোনোভাবেই কোনো সূত্র বা কম্পিউটার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির কাজ না করতে বলেছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক বা প্রধানের মনোনিত একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে এন্ট্রিসহ উপবৃত্তির কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৬ষ্ঠ শ্রেণি, বিশেষ ক্ষেত্রে নবম শ্রেণি ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত উপবৃত্তি যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত এইচএসসি-এমআইএস সার্ভারে নির্ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ১৯ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য অন্তর্ভুক্তির সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ষ্ঠ শ্রেণি, বিশেষ ক্ষেত্রে ৯ম শ্রেণি এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি-এমআইএসে এন্ট্রি করার প্রক্রিয়াটি স্বল্প সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এন্ট্রিসহ উপবৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কোনোক্রমেই অন্য কোন সূত্র বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য এন্ট্রিসহ উপবৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মনোনীত একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তথ্য এন্ট্রিসহ উপবৃত্তি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে এইচএসপি-এমআইএসে সম্পন্ন করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এইচএসপি-এমআইএস আর্থিক সফটওয়্যার হওয়ায় এমআইএসের পাসওয়ার্ড সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে। কোনোক্রমেই এমআইএসের পাসওয়ার্ড দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এমআইএসের পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ইউজার প্রোফাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে হালনাগাদ বা আপডেট করতে হবে। অন্যথায় ওটিপির মাধ্যমে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।