ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দোয়েল চত্বর এলাকায় ফের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও কোটার পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের দিকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহীদুল্লাহ আবাসিক হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে আবাসিক হলের ভেতর থেকেও ছাত্রলীগের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়। এরমধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে এ সময় পুলিশের কোনো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে ছিল না। যদিও প্রথম দফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে প্রথম দফার সংঘর্ষের পর পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের ছেঁড়া জুতা, ভাঙা চশমা, লাঠি, কাঠ ও বিভিন্ন গাছের ডাল পড়তে থাকতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের শতাধিক ভাই-বোন ও বন্ধু আহত হয়েছেন। অনেকে ব্যাগ-মোবাইলফোন হারিয়েছেন। এছাড়া আন্দোলনকারীদের খুঁজে খুঁজে মারধর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আরো পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে-বিপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
প্রথম দফার সংঘর্ষ শেষে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছেন। দফায় দফায় মিছিল করেছেন তারা। কোটা আন্দোলনকারীরা যাতে পলাশী বা নীলক্ষেত থেকে আবারো ক্যাম্পাসে আসতে না পারেন, সে জন্য ফুলার রোডে অবস্থান নেন তারা।
দুপুর ২টার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, শুরুতে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে অংশ নিলেও পরে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। বিজয় একাত্তর হলের সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন।