কার্বন নিঃসরন কমাতে ও গণপরিবহনকে উৎসাহিত করতে কারও একাধিক গাড়ি থাকলে দ্বিতীয় গাড়িতে কার্বন কর ধার্য করতে যাচ্ছে সরকার। গাড়ির সর্বোচ্চ ইঞ্জিন সক্ষমতার ভিত্তিতে কার্বন করের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
একাধিক গাড়ি থাকলে যে গাড়ির সিসি ক্ষমতা বেশি হবে সে অনুযায়ী সেটির ওপর কার্বন কর ধার্য করা হবে। আগামী অর্থবছর থেকে কার্বন কর কার্যকর হতে যাচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, একাধিক গাড়ি আছে এমন করদাতাদের কাছ থেকে দ্বিতীয় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও নবায়নের সময় ২৫ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়তি কর নেওয়া হবে।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। ১৪ মে প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হবে। ২০২৩-৩৪ অর্থবছরের বাজেটে কার্বন করের প্রস্তাব উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
চলতি অর্থবছরে সরকার মোটর গাড়ির সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে। ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসির গাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসির গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার কার বা মাইক্রোবাসের ওপর কর ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করে। ফলে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতার গাড়ির মালিককে বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা কর দিতে হয়, যা আগে ছিল ১৫ হাজার টাকা।
৩৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা নবায়নের সময় দুই লাখ টাকা দিতে হবে, যা আগে ছিল দেড় লাখ টাকা। এছাড়া আয়কর আইন অনুসারে, মালিকের কাছে দুই বা ততোধিক মোটরগাড়ি থাকলে প্রত্যেক বাড়তি মোটরগাড়ির জন্য করের হার ৫০ শতাংশ বাড়বে। বর্তমানে অনেক দেশই মোটর যানবাহন ক্রয় বা ব্যবহারের ওপর তাদের করের ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সংক্রান্ত নানা ধরনের কর আরোপ করছে। অনেক দেশে করের পরিমাণ নির্ভর করে যানবাহনের জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর—যা কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।
দেশে বর্তমানে বিআরটিএর নিবন্ধন পাওয়া মোট গাড়ির সংখ্যা ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০টি। এর মধ্যে প্রাইভেটকারের সংখ্যা তিন লাখ ৯১ হাজার ৪৯১টি।