অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা চলছে। দ্বিতীয় দিনে মোট দশটি বোর্ডে দুই ব্যাচে ভাইভায় অংশ নেন প্রার্থীরা। প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টায় ও দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষা বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। ২৮ অক্টোবর স্কুল-২ পর্যায়ের ২০১০৬১৯১৫ থেকে ২০১১১২৮১৮ রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা হয়। দ্বিতীয় দিন মোট ৬০০ জন প্রার্থীর ভাইভা নেয়া হয়। প্রথম দিন (২৭ অক্টোবর) ২০১০০০২৪৮ থেকে ২০১০৬১৮০১ রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা হয়। প্রথম দিন মোট ৬৩০ জন প্রার্থীর ভাইভা নেয়া হয়।
দ্বিতীয় দিনে যারা ভাইভা দিয়েছেন, তাদের অভিজ্ঞতার কথা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন তারা।
মানিকগঞ্জ থেকে ভাইভা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন মাসুমা মেহেরিন তিশা। তিনি পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, আমাকে প্যাসিভ ভয়েস করতে দেয়া হয়েছিলো। লেট মি ডু দ্যা ওয়ার্ক এটাকে প্যাসিভ করতে বলেছিলো। একজন ম্যাডাম আমাকে জ্ঞানী যুক্তবর্ণকে ভেঙে দেখাতে বলেছিলো। এছাড়াও আমি কোথা থেকে পড়াশোনা করেছি সেটা জানতে চেয়েছিলো।
নরসিংদী থেকে আসা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি সমাজবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছি। আমি প্রায় দুই মিনিট ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম। আমাকে নিজ জেলার কবি শামসুর রহমান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। সমাজবিজ্ঞানের জনক কে প্রশ্নটির উত্তর লিখতে দেয়া হয়েছিলো। পাশাপাশি বাংলা সমাস থেকে একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল।
সাকিবুর রহমান চাঁদপুর জেলা থেকে ভাইভা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি অর্থনীতি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলন, এটি আমার প্রথম ভাইভা ছিলো ও প্রত্যেকটা শিক্ষক অনেক বিনয়ের সাথে প্রশ্নগুলো করেছেন। যেহেতু আমি অর্থনীতির ছাত্র; আমাকে অর্থনীতি বিষয় থেকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিলো। বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কি সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। পাশাপাশি বাংলা বাগধারা থেকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিলো। অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি সন্তুষ্ট।
আরো পড়ুন: এনটিআরসিএর কার্যালয়ে আসবেন যেভাবে
ফরিদপুর বোয়ালমারি থেকে আসা রবিন বিশ্বাস বলেন, এটা আমার জীবনের প্রথম ভাইভা পরীক্ষা ছিলো। স্যাররা অনেক আন্তরিক, আমাকে মোট পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছিলো। সোনায় সোহাগা, ইঁদুর কপালে, একাদশে বৃহস্পতি এর অর্থ কি। বৃষ্টি পড়ে ও বৃষ্টি হচ্ছে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে বলেছিলেন। আমার ভাইভা দিতে সময় লেগেছে চার থেকে পাঁচ মিনিট।
আরো পড়ুন: ভাইভা চলছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি যেভাবে
ফরিদপুর থেকে ভাইভা দিতে আসা সুজন মাতব্বর নামে এক প্রার্থী বলেন, আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছি। শুরুতেই আমার নাম ও বাবা মায়ের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিলো। বাংলা সাহিত্য (পল্লী কবি) থেকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিলো। পাশাপাশি আমার নিজ জেলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে অবশ্যই সব শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। যেহেতু এবার ভাইভার জন্য আলাদা প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি, তাই লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রই মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে।
আরো পড়ুন: প্রথম দিনের ভাইভায় যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন প্রার্থীরা
এর আগে গত মঙ্গলবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে মৌখিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানানো হয়। শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের ভাইভার তালিকা প্রকাশ করা হবে। পর্যায়ক্রমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী ভাইভায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।