ভারতের জাতীয় পাঠক্রম পরিকাঠামোতে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে সুপারিশ করা হচ্ছে। পরীক্ষা নেওয়াকে বলা হচ্ছে অযৌক্তিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া একটি অপ্রয়োজনীয় হাতিয়ার। তাই দ্বিতীয় নয়, তৃতীয় শ্রেণি থেকে পরীক্ষার সুপারিশ করা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষা নীতির পাঠ্যক্রম কাঠামো এমনভাবে তৈরি হওয়া দরকার যাতে শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের শুরুতে অতিরিক্ত বোঝা বলে মনে না হয়। প্রারম্ভিক শিক্ষায় শিশুদের ওপর কোনোভাবেই চাপ দেওয়া যাবে না। প্রকৃতির মতো তাদেরকে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। এতে নিজের ওপর নিজের নির্ভরতা বাড়ার পাশাপাশি শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে বেড়ে উঠবে।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজে অবস্থানরত জ্ঞানী মানুষের পরামর্শও চেয়েছে ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও জাতীয় পাঠক্রম পরিকাঠামোতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের যোগ্যতা বিচারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কী শিক্ষা লাভ করছেন তা পরিমাপ করার ক্ষমতা অর্জণ করতে হবে। লেখাপড়ার সঙ্গে রাখিবন্ধন গড়ে তুলে নিজেকে পর্যবেক্ষণে রাখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এসময় বিতর্ক, উপস্থাপনা, গবেষণা ইত্যাদি বিষয়ের অনুশীলন একসময় তাদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।