ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চালক ও তার দুই সহকারীর বিরুদ্ধে। এতে ওই নারী গুরুতর আহত হন।
শুক্রবার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার মায়ের মসজিদ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন।
৩৮ বছর বয়সী ওই নারী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বাস চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চালক রাকিব হোসেন, চালকের সহকারী আরিফ হোসেন এবং আনন্দ দাশ। এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
মামলার বরাতে ওসি কামাল বলেন, “শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারী ‘মাওনা রিদিশা গার্মেন্টসে’ কাজ শেষে প্রতিদিনের মত বাসে করে ভালুকায় ফিরছিলেন। সিড স্টোর এলাকায় বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যায়।”
“এই সুযোগে বাসের চালক ও তার সহকারীসহ তিনজন ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন।”
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই নারীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই নারীর স্বজনরা জানান, দুই ছেলেকে পড়াশোনা জন্য প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন। যারা তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন স্বজনরা।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, “সকালে হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর খোঁজখবর নিয়েছি। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করব।”
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন বলেন, ওই নারী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অবস্থার উন্নতি না হলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।