পুরান ঢাকার ধুপখোলা খেলার মাঠের দখল পুনরায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) ফিরিয়ে দিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসন। রোববার বিকাল চারটায় ঢাকা জেলা প্রশাসক এ মাঠের দখল হস্তান্তর করেন। এদিন বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে ধুপখোলা মাঠে যান ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ধুপখোলা মাঠের ৫ একর ৩২ শতাংশ মধ্যে বাউন্ডারিকৃত সাড়ে চার একর জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করেন ঢাকা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেই মাঠের ফটকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’ লেখা সন্বলিত ব্যানার টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ফুটবল পাসিংয়ের মাধ্যমে মাঠ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আজকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ তাদেরকে হস্তান্তরের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হলো। আমি চাই, এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা স্থায়ী সাইনবোর্ড হোক। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা যে বিজয় দেখিয়েছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে আমরা আর দেখিনি। এটা আমার নিজের জন্যও অনেক বড় একটি শিক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, এই ধুপখোলা মাঠে দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে আসছে। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে হুট করে কী কারণে মাঠটি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হলো তা বুঝে উঠতে পারিনি। আমি আশা করবো, জেলা প্রশাসন আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এ সময় কোষাধ্যক্ষ ধুপখোলা মাঠে খুব দ্রুত একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করার ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার মাঠটি দখল করে নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস। তার পর থেকেই মাঠে কোনো কর্তৃত্ব ছিলো না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। হাসিনা সরকারের পতন পর জবি শিক্ষার্থীদের দাবিতে এ মাঠ পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করলো ঢাকা জেলা প্রশাসন।