যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূল থেকে ৬৪৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বর্তমানে এটির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৩৩ কিলোমিটার এবং এই গতিবেগ ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে মেক্সিকোয় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘হারিকেন হিলারি’ নামে চিহ্নিত করেছে বিবিসি। সাধারণত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব-উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে ‘হারিকেন’ বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে এই ধরনের হারিকেন আঘাত হানে থাকে।
হারিকেন হিলারি একটি চার নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় বলে গতকাল শুক্রবারই জানিয়েছিল ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নেভাদা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে পারে হিলারি। প্রতি মুহূর্তেই শক্তি ও গতি বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ২৪ ঘণ্টায় আশঙ্কাজনকভাবে ঘণ্টাপ্রতি ৭৪ মিটার গতি বেড়েছে হারিকেন হিলারির।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপকূল ভাগে আঘাত করার পর এটির গতিবেগ কমে যাবে। এটি তখন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও উটাহ’র দিকে এগিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে গত ৮০ বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানা প্রথম কোনো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হবে এটি।
এদিকে হারিকেন হিলারির প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বল্যে জানিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ দ্য ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস বা এনডব্লিউএস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, কিছু কিছু এলাকায় ৭ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও দক্ষিণ নেভাদা অঞ্চলের কিছু অংশে দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ উপকূলীয় শহর সান দিয়াগোয় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।