দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি (জিআরএস) এবং জিআরএস সফটওয়্যার’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহকারী সচিব (আইন) মোহাম্মদ শোয়াইব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পতি শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে চতুর্থ শিল্পবিল্পবের অভিযাত্রায় শামিল হয়ে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে সকলের করণীয় দিক সম্পর্কেও বক্তব্যে আলোকপাত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ের নেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমাদের সকলের সামনে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। কেননা আমরা এখানে উপস্থিত সকলেই ‘ওল্ড স্কুল’ শিক্ষা পদ্ধতিতে শিখে আসা ছাত্র। অর্থাৎ আপনি আমি যে ধাচে শিক্ষা নিয়ে এসেছিলাম, সেটি এখন পাল্টে গেছে। যেহেতু এ পদ্ধতি পাল্টে গেছে এবং আমরা এখনো কর্মরত আছি, তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই পাল্টানো পদ্ধতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। যদি সেটা না করি, তাহলে আমি নিজে যেমন পিছিয়ে যাবো; ঠিক তেমনে যে প্রতিষ্ঠানে আছি সে প্রতিষ্ঠানও পিছিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা-পর্যালোচনা থেকে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ ঘটবে, যা তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।