নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষকের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার শিক্ষকরা প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কনকনে শীত উপেক্ষা করে সারাদেশের শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার এবং ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি শিক্ষকরা বাকি তিন দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ নেবেন। মাস্টার ট্রেইনাররা বলছেন, নতুন শিক্ষক্রমের প্রশিক্ষণে শিক্ষকরা ছিলেন খুবই আন্তরিক। প্রশিক্ষণে শিক্ষকরা আগ্রহী ছিলেন। অপরদিকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন। কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে, পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমে মানিয়ে নিতে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। তবে, শীতের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে দেশের ৪০৮টি উপজেলা ও ২৫টি থানায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ ও নামাজের বিরতি এক ঘন্টা এবং ১৫ মিনিট করে দুই দফায় মোট ৩০ মিনিটের রিফ্রেশমেন্টের বিরতি ছিলো। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া শিক্ষকদের ৫০০ টাকা করে ভাতা দেয়া হয়েছে। আর ২৫০ টাকা দেয়া হয়েছে ভাড়া বাবদ। আর শিক্ষকদের দুপুরের খাবারের জন্য বাজেট ছিলো ৩০০ টাকা যা, ভ্যাট কেটে নগদ শিক্ষকদের দিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর সকালে প্রশিক্ষণে আসা শিক্ষকদের নাশতা দেয়া হয়।
পাবনার সুজানগর উপজেলার খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ রাজু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রশিক্ষণ চলছে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছি। পুরো পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে সার্বিক বিষয়ে জানাতে পারবো। ঠিকঠাক মতো প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ নিতে পেরেছি।
জানতে চাইলে নওগাঁর মাস্টার ট্রেইনার অহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ছিলো স্বতস্ফুর্ত। শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। নতুন শিক্ষাক্রমের বদলে যাওয়া বিষয়গুলো তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। উৎসব মুখর পরিবেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
জানতে চাইলে নরসিংদীর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সকাল থেকে আমরা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছি। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করছেন। শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ভালো। নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষা বদলে যাচ্ছে, এ বদলে যাওয়া শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষকরা যেন খাপ খাইয়ে নিতে পারেন সেজন্য তাদের সাহস দিচ্ছি। তাদের বদলে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ খুবই ভালো ছিলো। শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তারা আন্তরিক। তবে তীব্র শীতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমার শিক্ষকদের সম্মানী ও ভাড়ার টাকা তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবো। তাদের দুপুরের খাবারের টাকা দেয়া হয়েছে, দুপুরের বিরতিতে শিক্ষকরা খাবার খেয়েছেন। তবে, সকালের নাশতা আমরা সরবরাহ করেছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।