প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যে টার্মিনাল কম্পিটেন্সি থাকে অর্থাৎ প্রান্তিক যোগ্যতার বিষয় আছে, সেখানে ২৯টি যোগ্যতা থাকে। প্রাথমিকের পাঁচ বছরে অনেক শিক্ষার্থীই এই প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন না। নতুন শিক্ষাক্রমে এসব প্রান্তিক যোগ্যতা সহজেই অর্জন করা যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক অনুরাধা পাল সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে দৈনিক আমাদের বার্তাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে কারিকুলাম পরিবর্তন হয়েছে এর পেছনে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা আছে। আমরা দেখেছি, প্রাথমিক শিক্ষার পরেই অনেকে ড্রপ আউট হয়ে যান। তখন অনেকেই কর্মসংস্থান খোঁজেন। আত্মকর্মসংস্থানে পঞ্চম শ্রেণি পাস করারা সহজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন না। কারণ তারা সেই লার্নিং আউটকামটা শিখতে পারেন না। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো আত্মকর্মসংস্থানে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবেন। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবেন।
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে অনুরাধা পাল বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। শিক্ষক সংকট আছে। স্কুল ম্যানেজমেন্ট স্মুথ নয়। আরো শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক নতুন কারিকুলামের সাথে সবচেয়ে বেশি রিলেটেড। কিন্তু, দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক আমাদের বেশি নেই। আবার অনেক শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না। অবকাঠামোগত আর জনবলের সমস্যার মধ্যে সমন্বয় তো আমরা করতে পারছি না। আমাদের সমস্যাটা উভয় জায়গায়। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পরীক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে কারিকুলামটা এসেছে, এতে পরীক্ষা ব্যবস্থায় বড় একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনটা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী একটা ব্যবস্থা বলতে হবে। কিন্তু এটা আমাদের আত্মস্থ করতে, মার্কেটাইজ করতে হবে। যেমন আমাদের অনেক অভিভাবক আছেন, তারা খুব বেশি শিক্ষিত নন। যখন শোনেন যে পরীক্ষা থাকছে না, তখন তারা বিষয়টিকে অন্যরকমভাবে নেন। তো এই বিষয়টা আমাদের মার্কেটাইজ করতে হবে। তাহলে আমরা এর সুফল দ্রুত পাবো।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।