নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন তদারকি করতে মাস্টার ট্রেইনারদের তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইমেইলে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ টি এম জিল্লুর রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। চিঠিতে এক একজন মাস্টার ট্রেইনারকে দুই বা তিনটি প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন তাদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭৪৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে। এই নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঠিক মতো পাঠদান ও শ্রেণি মূল্যায়ন করা হচ্ছে কি-না তা দেখার জন্য এ নির্দেশনা দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে পত্নীতলা উপজেলার মাস্টার ট্রেইনারদের তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বজায় রেখে সুবিধা মতো সময়ে পার্শ্ববর্তী দুটি বা তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না তা দেখতে বলেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ের শ্রেণি শিক্ষক সঠিকভাবে পাঠদান করতে না পারলে সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত মাস্টার ট্রেইনার সেই শিক্ষককে সহায়তা করতেও বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকার শিক্ষাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে নতুন কারিকুলাম রূপরেখা ঘোষণা করেছে এবং তা বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে ক্লাস চলছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশে সরকার বিপুল অর্থ ব্যয়ে সারা দেশে প্রায় ১৬ হাজার মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করেছে। এসব মাস্টার ট্রেনারদের হাত ধরে গত জানুয়ারি মাসে সিংহভাগ শিক্ষককে ট্রেনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। নওগাঁ জেলায় ৩৬৩ জন মাস্টার ট্রেনার তৈরি করা হয়েছে। এখন মাস্টার ট্রেনাররা যাতে তাদের অর্জিত প্রশিক্ষণ জ্ঞান ধরে রাখতে পারে এবং একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ জ্ঞানের চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে এবং পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে এই জ্ঞানটিকে বিনিময় করতে পারে তার জন্য মাস্টার ট্রেনারদের নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অন্য পার্শ্ববর্তী এক বা দুটি প্রতিষ্ঠান তদারকি করে রিপোর্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাদান, শিখন কালীন মূল্যায়ন এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দুর্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে এ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ষষ্ঠ শ্রেণীর এবং একটি সপ্তম শ্রেণীর ষাম্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের খাতার ফটোকপি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। খাতাগুলো মাস্টার ট্রেনারদের দিয়ে দেখিয়ে দুর্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করতে বলা হয়েছে। প্রাপ্ত দুর্বল ও মফস্বল এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরবর্তীতে ইনহাউজ প্রশিক্ষণে এনে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এক ভার্চুয়াল সভায় সব মাস্টার ট্রেনারদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিলো।