নবম পে-স্কেল ঘোষণা ও মহার্ঘভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ। সংগঠনটির পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পে স্কেলের মেয়াদ ৭ বছরের বেশি হয়েছে। তার মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেড়েছে। তাই সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা প্রয়োজন। এজন্য পে-কমিশন গঠন করাসহ ১১ দফা দাবি জানাচ্ছি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
সংগঠনটির দাবিগুলো হলো- দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণার জন্য পে-কমিশন গঠন এবং নবম পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করা। তার আগে জীবনযাত্রার মান ও আয় ব্যয়-ব্যয়ের সংগতি সামঞ্জস্য রাখতে ৪০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ তে বিলুপ্ত ৮, ১২ ও ১৫ বছরে টাইমস্কেল, ৪/৫ বছরে সিলেকশন গ্রেড, বেতন সমতাকরণ, ইবিক্রস, অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট এবং বিশেষ গ্রেড প্রদান পূর্বের ন্যায় বহাল করা; দ্রুত সময়ে সচিবালয়ের সব দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের সচিবালয়ের ন্যায় পদ ও গ্রেড পরিবর্তন করা; বর্তমান ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি গ্রেড বাস্তবায়ন করা।
তাদের আরও দাবি হচ্ছে, বিদ্যমান ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের শতভাগ ও রেশন ব্যবস্থা চালু করা। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৫০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ দেয়া। ব্লকপদে পদোন্নতির সুযোগ দিয়ে সব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি একমুখীকরণ। আউটসোর্সিং নিয়োগ বিলুপ্তসহ কর্মরতদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পে সাকুল্য বেতন ভোগীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিন্টু লাল চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মাঝে চলছে বিশাল বৈষম্য। আর এ বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা।
এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে বৈষম্যমুক্ত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউর রহমান প্রমুখ।